সফেদ পতাকা উঁচিয়ে বিশৃঙ্খলার দিকে যিনি তাকিয়ে আছে, তাকে বলা হয় উন্মাদ সে শান্তি চাইছে।
রাষ্ট্রের ভোজনাগার সুষ্ঠু বণ্টনের দাবিতে যার কলমের কালি চিৎকার করে উঠছিলো তাকে কখনোই কেউ লাল গালিচায় সংবর্ধনা জানায়নি, সে শুধু হেঁটেছে পিচ ঢালা রাস্তায় কিংবা গ্রামের মেঠো পথে।
অসুস্থ দেশের সুস্থতা কামনার জন্য যার প্রার্থনা গীত ভেসে এসেছিলো ভীতু মানুষের কানে, সে কবিরও মৃত্যু হবে চিকিৎসার অভাবে।
তার পরিবার প্রিয়জন রাষ্ট্রের কাছে হাত পাততে পাততে এক পর্যায় তাদের হাতের রেখো গুলো মুছে গেছে কি আশ্চর্য!
এখানে শুধু ভালো থাকছে চাটুকার’রা! যে হেঁসে হেঁসে অধিকারের অপব্যবহার করছে, যিনি ভরা পেটে লিখে যাচ্ছে দুঃখের কবিতা….
বুলেটপ্রুফ গাড়ীর ভেতরে থাকা প্রতিটা মানুষ ক্ষুধার্ত কবিকে এড়িয়ে চলে ও যথেষ্ট ভয় পায়।
ক্ষুধার্ত কবির কবিতারা বোমার মতো
যার তার আবেগ কিংবা বিবেকে বিস্ফোরিত হয় প্রবল বেগে।