কামরুল হাসান হৃদয়, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এলাকায় তরকারির আড়তের দখলদারি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে নারীসহ ১০ জন। রায়পুরের ২ নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডে চান্দার খালের তরকারি আড়ৎ নিয়ে মূলত এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিএনপির উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ২ নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র- সহ সভাপতি ফারুক আহম্মেদ কবিরাজের গ্রুপ এবং উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব-জিএম সামিম গ্রুপের মধ্যে ২ দিন ধরে ধাপে ধাপে এ সংঘর্ষ চলতে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য ফারুক আহম্মেদ কবিরাজ এবং আওয়ামিলীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাস্টার ও ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার মো: মফিজুর রহমান খানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র– রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে মেহেদী হাসান কবিরাজ, পূর্বে আওয়ামিলীগের নেতা এবাদুল্লা গাজী, বহিষ্কৃত কবির সরকার, ফারুক গাজী,রায়হান গাজী, রাজু গাজী, সোলেমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক- এল এম সোহাগ, বুলো রারি, রাছেল গাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন সদস্য সচিব- খান রুল-আমিন, আরিফ বাঘা , আলামিন কবিরাজ মিলে উপজেলা কৃষকদলে সদস্য সচিব জিএম সামিম গাজীর গ্রুপের উপর রাতে অন্ধকারে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক-সফিক, যুবদল সাধারণ সম্পাদক- লিটন বারী ও ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের ফরহাদ, শফিকুর রহমান, গনি মিয়া, শানু বেগমসহ ১০ জন।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মুমূর্ষ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে তারা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফারুক আহম্মেদ কবিরাজ ঢাকায় ব্যবসায়ি হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে নানান ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে অভিযোগ উঠেছে, তিনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে উপজেলার আহবায়ক সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে নিজ গ্রুপ ভারী করেন। তিনি জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তার লোক সংখ্যা কম থাকায় এখন আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসন করেন ও লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তোলেন।
এ বিষয়ে খিজির আহমেদ জিএম সামিম গ্রুপের একজন জানান, ‘আমার বাড়িঘরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়েছে, স্বর্নালঙ্কার ও দোকান লুটপাট করেছে। ৪০-৫০ জনের একটা দল অতর্কিত হামলা চালায়।’