কামরুল হাসান হৃদয়, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে জমির চাষাবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে পিতাপুত্র হাসপাতালে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শহীদ উল্লাহ গণমাধ্যমকে তাদের ওপর হামলার বর্ণনা তুলে ধরেন।
এর-আগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদি গ্রামের অজির বিলে শহীদ উল্লাহর দুই ছেলে রকি ও মোহনকে মারধর করে তাদের প্রতিপক্ষ হিরন মিয়ার দুই ছেলে মারুফ ও ফিরোজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কৃষক শহীদ উল্লাহ নিজ গ্রাম উত্তর হামছাদি অজির বিলে বোরোধানের চাষাবাদ করে আসছেন দুই ছেলেকে নিয়ে। তার একটি হালচাষের ট্রাক্টর রয়েছে। এ সুবাদে তিনি তার জমির আশপাশের অন্য কৃষকদের জমি ও হালচাষ দেন। তবে চলতি বছর হঠাৎ কৃষক শহীদ উল্লাহ হালচাষে দিকে কুদৃষ্টি পড়ে তার প্রতিবেশী হিরন মিয়া ও তার দুই ছেলের। কৃষক শহীদ উল্লাহকে হিরন মিয়া সরাসরি বলে দিয়েছেন এখন থেকে আর অজির বিলে হালচাষ না করার জন্য। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে শহীদ উল্লাহর ছেলে রকি ও মোহনকে হিরন মিয়ার দুই ছেলে মারধর করে। খবর পেয়ে শহীদ উল্লাহ ছুটে গেলে তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে শহীদ উল্লাহ গুরুতর আহত হয়।
ভুক্তভোগী কৃষক শহীদ উল্লাহ ও তার ছেলে মোহন জানান, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে হিরন মিয়া জড়িত। তাই সেই এখন আমাদের কৃষি কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যায় ভাবে হিরন ও তার দুই ছেলে আমাদের মারধর করছে। আমরা এখন তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
অভিযুক্ত হিরন মিয়া বলেন, প্রজেক্ট আমার। জোরপূর্বক ৮ বছর ধরে দখল করে নিয়েছে শহীদ উল্লাহ। এ বছর প্রজেক্টে হালচাষ না করতে নিষেধ করছি। করতে হলে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবুও জোরপূর্বক শহীদ উল্লাহর দুই ছেলে নতুন একটি ট্রাক্টর কিনে হালচাষ করছে। আমার ছেলেরা বাঁধা দেয়। তখন শহীদ উল্লাহ লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমার এক ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানান, কৃষক পরিবারের ওপর হামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।