কামরুল হাসান হৃদয়, লক্ষ্মীপুর: 'বিকল্প কে? তুমি, আমি আমরা' ''তোমাদেরকে জিততেই হবে, মনে রেখো ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে, তোমরা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে', 'যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ', 'কারো পানি লাগবে পানি?' যতবার হত্যা করবে, জন্মাবো আবার, দারুণ সূর্য হবো, লিখবো নতুন ইতিহাস'। এমন সব শ্লোগানে-শ্লোগানে ছেয়ে গেছে পুরো শহরেরর সব পরিত্যক্ত দেয়াল।
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের এস.আর রোড এলাকার দেয়াল, ডিসি কলোনির সীমানাপ্রাচীর, শহিদ আফনান চত্বর, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ এলাকার সীমানাপ্রাচীরে শিক্ষার্থীরা দলে-দলে রাঙিয়ে তুলেছে বিভিন্ন শ্লোগান এবং গ্রাফিতিতে।
শুক্রবার (৪অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকমাস আগেও যে দেয়ালগুলো পরিত্যক্ত এবং বস্তাপচা লেখা, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী ও রাজনৈতিক পোস্টার, পেস্টুরে ঠাঁসা ছিলো সেগুলোতে এখন রঙতুলির আঁচড়ে ঠাঁই পেয়েছে নান্দনিক বিভিন্ন গ্রাফিতি এবং বিপ্লবী লেখা।
কথা হয় বীর মুগ্ধ'র গ্রাফিতি আঁকা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন এর সাথে। বীর মুগ্ধ'র ছবি আঁকা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুগ্ধ পানি দিতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন, তাই মুগ্ধ'র স্মৃতি ধরে রাখতেই আমি গ্রাফিতি করেছি।
জানতে চাইলে রায়হান আরো বলেন, আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে এবং বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ এর রসায়ন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুঁই তার গ্রাফিতি দেখিয়ে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম আমাদের কলেজ এর দেয়ালগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। আমি আমার থিম থেকে দুটো ছবি এঁকেছি। আর প্রথম ছবিতে এঁকেছি একটা শ্যাডো, সেখানে নারী-পুরুষ এর মুষ্টিবদ্ধ হাত ছিলো, যা মূলত বৈষম্যের প্রতি নারী-পুরুষ এর রুখে দাঁড়ানোকেই বুঝিয়েছে।
জুঁই আরো বলেন, আমার দ্বিতীয় ছবিতে লেখা শব্দ 'New Bangladesh is loading' এর মানে এতদিন যে স্বৈরাচারী বিষয়টা ছিলো ওটা পরিবর্তন হয়ে সামনের দিকে যে নতুন বাংলাদেশ আসবে সেটা সুন্দর থাকবে। এমনটা বুঝাতেই আমি এ গ্রাফিতিটি আঁকি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।