কামরুল হাসান হৃদয়: রাত পোহালেই ভোট। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনেই নৌকা প্রতীকের বিপরীতে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
শুক্রবার (৫জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শেষ হয়েছে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার কাজ। সুস্থ ভোট নিয়ে শংকা দূরীকরণে আরবী হরফ আলিফ এর মত সোজা ভোট তথা সুস্থ নির্বাচনের কথা বলেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান।
সুরাইয়া জাহান আরো বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সর্বোচ্চ চেষ্টায় সরব ছিলো ৪টি আসনের নৌকার টিকিট পাওয়া প্রার্থীরা। অন্যদিকে নৌকার সাথে পাল্লা দিতে সমানতালে মাঠে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেছেন হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনের মধ্যে, লক্ষ্মীপুর-১ তথা রামগঞ্জ আসনে নৌকার প্রার্থী ড.আনোয়ার খানের সাথে পাল্লা দিয়ে শক্ত অবস্থানে মাঠে রয়েছেন যুবলীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন নিজের সর্বোচ্চ কৌশল দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন। নয়ন এর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, সাবেক সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল পত্নী সেলিনা ইসলাম। নির্বাচনী জটিলতার কারণে অল্প সময় পেয়েও মাঠে এসে সরব উপস্থিতি ফেলার কারণে নৌকার প্রার্থীর কপালে পড়ে যায় চিন্তার ভাঁজ। সেলিনা ইসলাম লড়ছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভোটের খেলা খেলছেন নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মিয়া মোঃ গোলাম ফারুক পিংকু এবং তার বিপরীতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম.এ সাত্তার। এম.এ সাত্তারের নির্বাচনী প্রতীক ট্রাক।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে জোটের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন লড়ছেন নৌকা নিয়ে। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে থেকে ভোটের খেলা খেলছেন সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল মামুন। মামুনের প্রতীক ঈগল। এছাড়াও রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম, তিনি লড়ছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নদীবাঁধ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসা নদীবাঁধ আন্দোলন নেতা হিসেবে পরিচিত ও রকেট প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ানও রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।