ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের সমর্থনে একাট্টা হয়েছেন মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানের খাস তালুক হিসেবে পরিচিত মধুখালী উপজেলা। তবে নানা কারণে বিতর্কিত-সমালোচিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
বিতর্কের কারণে গেলবার মনোনয়ন না পাওয়া আব্দুর রহমান এবার নৌকার প্রার্থী। তবে তার ওপর অনাস্থা থেকেই দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনকে সমর্থন করছেন। ফলে দোলনের দিকেই ভোটের পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মধুখালী পৌরসভায় আরিফুর রহমান দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মধুখালী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলবেঁধে যোগ দিয়ে ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলনকে বিজয়ী করার প্রত্যয় রাখেন।
নির্বাচনী প্রচারের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরিচবাজার এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী নিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে দোলন ভোটে লড়ছেন নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তবে কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দোলন ক্লিন ইমেজ, জনসমর্থন আর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ সব দিকেই এগিয়ে রয়েছেন।
ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর থেকে ফরিদপুর-১ আসনে দোলনের ঈগল মার্কার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। গত দুই দশক ধরে তিন উপজেলায় নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে হেভিওয়েট প্রার্থী দোলনই এমপি নির্বাচিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে দোলন বলেন, ‘ফরিদপুর-১ আসনকে স্মার্ট ও মডেল জনপড় হিসেবে গড়ে তোলাই আমার অন্যতম পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে, এলাকার শান্তি ও উন্নয়ন করতেই আমি সর্বস্তরের জনগণের মনোনীত প্রার্থী হয়েছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমার প্রতিটা ওয়াদা অক্ষরে-অক্ষরে পালন করবো।’
এসময় স্বতন্ত্র এ প্রার্থী পবিত্র কাবা শরীফ ছুঁয়ে তাঁর শপথের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘আমি এমপি হলে প্রাপ্ত সরকারি ভাতা গ্রহণ করবো না। এই টাকা নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবো।’
অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আহ্সানুজ্জামান আজাউলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতাকর্মী দোলনের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করবেন বলে ঘোষণা দেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শেখ শওকত আহমেদ, ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডুমাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মাসুম, মধুখালী উপজেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ডাবলু, মধুখালি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা পারভেজ মোল্লা, কামারখালী ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা তারেক হোসেন মোল্যা, মধুখালী উপজেলা শ্রমিক নেতা আকরাম হোসেন, মধুখালী আইন উদ্দিন কলেজের সাবেক জিএস নূরুল ইসলাম উজ্জল, সাংবাদিক এস এম আকাশ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ দোলনকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ‘বিগত দিনে ফরিদপুর-১ আসনের জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকার কর্মী-সমর্থক ও ভোটার হওয়া সত্ত্বেও নানাভাবে বঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। সামান্য একজন নাইটগার্ডের চাকরির মিথ্যা আশ্বাসেও গরিব মানুষের টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থার নিরসন করতে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণের বন্ধু আরিফুর রহমান দোলনকে এমপি নির্বাচিত করতে হবে।