কামরুল হাসান হৃদয়: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই। উত্তরার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে তার মরদেহ উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেলে রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, হিমুকে উত্তররার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ রয়েছেন তার প্রেমিক মিহির।
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছোট বোন মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ কল করলে তার প্রেমিক হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
হুমায়রা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভুবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি।
হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন ও সেখান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন।
লক্ষ্মীপুরের আলোচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন হাইফাই’র মহসিন কবির বলেন, হিমু আমাদের হাইফাই থেকেই প্রথম মঞ্চে উঠে। যখন সে অভিনয় জগতে প্রবেশ করে তখন সে খুব ছোট ছিল। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে ছিল এরপর তার পরিবারের সাথে ঢাকায় চলে যায়।
মহসিন কবির আরো বলেন, হিমু বেশি প্রয়োজন ছাড়া লক্ষ্মীপুরে আসতো না, আমার সাথে সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো ২০১৩/১৪ সালে। সেই সাথে হাইফাইর এই দায়িত্বশীল হিমুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।