কামরুল হাসান হৃদয়: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচরের সৈয়দ মো: আজমুল হাসান ফরহাদ যোগদান করেছেন আমেরিকান সেনাবাহিনীতে। তিনি ১৯৮৭সালের ১০জুন ২১টুমচরের সৈয়দ রহিম উদ্দিন পণ্ডিত বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সৈয়দ সেলিম ও মায়ের নাম মোসাম্মৎ নাজমা আক্তার । ছয় ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
সৈয়দ ফরহাদের শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাবুরহাটের সুবেদার খুরশিদ আলমের বাড়িতে। নানার বাড়িতে থেকেই তিনি স্থানীয় চরবংশী জয়নালীয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে মাধ্যমিক এবং ২০০৫ সালে রায়পুর রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকার নিউ মডেল কলেজ থেকে ২০০৯সালে স্নাতক ও ২০১২সালে স্নাতকোত্তর এবং ২০১৬সালে ধানমণ্ডি 'ল' কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন।
এলএলবি শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির এর অধীনে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সৈয়দ ফরহাদ ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে ইমিগ্রেশন ভিসায় যান এবং স্ত্রী সালমা হক ও কন্যা সারাহ ফরহাদ হক সহ বসবাস করেন। সৈয়দ ফরহাদের স্ত্রী আমেরিকার জিউস প্রজেক্টে অটিজম নিয়ে কাজ করেন।
গত ২৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারেলিনার পোর্ট জ্যাকসন ট্রেনিং সেন্টার থেকে ব্যাসিক কমব্যাট ট্রেনিং শেষে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সেনাবহিনীতে স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগদান করেন।
সৈয়দ ফরহাদ আমেরিকার সেনাবাহিনীতে যোগদান করায় পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। অনুভূতি প্রকাশ করে সৈয়দ ফরহাদ বলেন, এ দেশে এসে (আমেরিকা) জব করেছিলাম। তখন নিজেই তথ্য পাই সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ আছে, তাই সব তথ্য বুঝে নিয়ে নিয়মমাফিক আগাই এবং আমেরিকান সেনাবাহিনীতে চাকুরিটাও হয়ে যায়। চাকুরিটা হওয়াতে আমি অনেক খুঁশি এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পেরে আরো গর্ববোধ হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।