“আল্লাহ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজের অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে।” (সুরা : রাদ।)
এই আয়াত তেলাওয়াত করে আইডিয়াল আলিম মাদরাসার চেয়ারম্যান মাওলানা জসিম উদ্দীন সমকালীন বাস্তবতা লক্ষ্য রেখে লিডারশীপ শিরোনামে ঈদ পরবর্তী মিলন অনুষ্ঠানের আলোচনা শুরু করেন। স্যারের কথাগুলোর সারকথা ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরার এই প্রয়াস,,,
মানুষকে আল্লাহ তায়ালা দুটো কাজের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন।
১. “আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।” (সুরা যারিয়াত।)
২. “মানব জাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের প্রেরণ করা হয়েছে।” (সূরা আল-ইমরান।)
জাতির কল্যাণে কাজ করতে গেলে একক প্রচেষ্টায় ফলপ্রসূ হয়না। এর জন্য প্রয়োজন সামগ্রিক প্রচেষ্টা। সামগ্রিক প্রচেষ্টার পেছনে একটি গোপন সূত্র থাকে তাই হলো লিডারশীপ বা নেতৃত্ব। নেতৃত্বের গুণাবলী ছাড়া একজন মানুষ কখনো মহান হয় না। এই গুণহীন মানুষের সফলতা শূন্যের কোঠায়। এই লিডারশীপ অর্জন করার জন্য নিন্মলিখিত গুণাবলি অর্জন করা প্রয়োজন,,,
১. নিজের নফস (نَفْس) এর লিডার হওয়া: “نَفْس” এই শব্দের বাংলা অহং, মন, আমি, বা নিজ। মন যা চায় তা না করে যে নিজেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তার জীবনে সমুদয় সফলতা ধরা দিবে। সে নিজেকে শৃঙ্খলিত রাখতে পারবে।
২. টাইম মেনেজমেন্ট: সময়ানুবর্তিতা ছাড়া পৃথিবীর কারো নেতৃত্বের গুণাবলী আসেনি। কেউ কখনো সফলও হয়নি।
৩. সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া ও নেওয়া: সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সফলতা, আর সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে নেতৃত্ব।
৪৷ দায়িত্বপরায়ণ: কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা ছাড়া নেতৃত্ব আসে না।
৫. আন্তরিকতা: অনান্তরিক মানুষ কখনো কাজ করে তৃপ্তি পান না। তারা পিছনের সারিরই চিরদিন।
৬. প্রতিটা কাজ নিজের মনে করে যথাযথ আনন্দের সাথে পালন করা।
৭. কমিটমেন্ট: প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা একজন লিডারের অন্যতম গুণ। প্রতিশ্রুতি পালন না করলে তার নেতৃত্ব কেউ মেনে নিবে না।
[আলোচনায় এই গুণাবলির সাথে বাস্তব জীবন সংগত অনেক উদাহরণ ছিলো। যা উল্লেখ করা সময়সাপেক্ষ]
আলোচনা শেষে সবাই জন্য ঘরোয়া পরিবেশে খাবার পরিবেশন হয়। কিছুক্ষণ বিরতির পরে স্থানীয় পর্যটন এলাকায় একটি মিনি ট্যুরের আয়োজন করা হয়। পুরো দিনটি খুব আনন্দদায়ক ছিলো। যা স্মৃতিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।