কামরুল হাসান হৃদয়: ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে থেকেই লক্ষ্মীপুরের সকল রুটে ঈদ বকশিসের নামে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। ঈদের পরেও জেলার অভ্যন্তরীণ এবং ঢাকা, চট্টগ্রামের বাসগুলোতেও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনেও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন রুটে সিএনজিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ ৩০ টাকার ভাড়া সর্বনিম্ন ৪০ থেকে ৬০টাকা এবং ৫০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা থেকে ৭০টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ স্টেশন থেকে চৌরাস্তা, তোরাবগঞ্জ, করইতলা, লরেঞ্চ, হাজীরহাট, করুনানগর, জমিদারহাট, আলেকজান্ডার যেখানেই যাত্রী যাক না কেনো নির্ধারিত ভাড়ার সাথে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ২০ থেকে ৩০টাকা।
ঝুমুর থেকে জকশিন, হাজিরপাড়া, মান্দারি, চন্দ্রগঞ্জের রুটেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ বাড়তি ভাড়া না দিলে নেয় না সিএনজিতে।
উত্তর স্টেশন থেকে দালালবাজার, পাটারীর রাস্তার মাথা এবং রায়পুর রুটেও যাত্রীদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত বকশিস। রায়পুর পর্যন্ত ৫০টাকার ভাড়ার সাথে বাড়তি দিতে হচ্ছে ১০টাকা থেকে ২০টাকা।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে যাত্রীদের সঙ্গে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার। অন্যদিকে, সিএনজি চালকদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এটাকে ঈদ বোনাস বলছেন তারা। শ্রমিকদের এমন আচরণে নিজেদের অসহায় মনে করছেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রামগামী শাহী বাসের কাউন্টারে ৪৫০টাকার টিকিট কাটা হচ্ছে ৬০০টাকা করে। কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজার বলেন মালিক কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা নিতে বলেছে।
ট্রাফিক পুলিশ কিংবা উপজেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা ইউএনও এবং কমলনগর উপজেলা ইউএনওকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।