সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা দেয়ায় হঠাৎই একঘরে হয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এদিকে নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে কনসুলেট বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স,যুক্তরাজ্য,যুক্তরাষ্ট্র সহ আরও ৯ টি দেশ। এদিকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ইস্যুতে বারবার সামনে আসছে নিষেধাজ্ঞার হুশিয়ারী। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পশ্চিমাদের এমন কার্যক্রমকে ষড়যন্ত্র বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
শক্ত হাতে তুরস্ক শাসন করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজেকে তুখোড় এক খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়েছেন এরদোগান। সিরিয়া যুদ্ধ, আর্মেনিয়া – আজারবাইজান কলহ কিংবা রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ সব জায়গায় পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ উপস্থিতি রয়েছে তার। সামরিক সক্ষমতার সূচকে তুরস্ককে নিয়ে গেছেন বিশ্বে ১১তম অবস্থানে।
সম্প্রতি ইউরোপের কোরআন অবমাননার ঘটনায় সবচেয়ে সরব ছিল তুরস্ক। যার জের ধরে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিপক্ষে চলে যায় আংকারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, জার্মানি সহ ৯ টি পশ্চিমা দেশ ইস্তানবুলে অবস্থিত তাদের কনসুলেট বন্ধ ঘোষণা করে। কারণ হিসেবে তারা দেখায় নিরাপত্তার সমস্যা।
আগামী মে মাসে তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে এসবকে গোপন পরিকল্পনার অংশ বলছে এরদোয়ান প্রশাসন।