ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিসিবি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে কেলি নেসিমেন্তো।
দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি ও প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন পেলে। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন হাসপাতালেই। হাসপাতালের বেডেই দেখেছেন বিশ্বকাপের ম্যাচ। বিশ্বকাপ ময়দানে তার জন্য চলছিল প্রার্থনা।
ব্রাজিলের ম্যাচ চলাকালে ভক্ত-সমর্থকরা গ্যালারি পোস্টার হাতে পেলেকে দ্রুত সেরে উঠার জন্য শুভকামনা জানান। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে বহুতল ভবনে পেলের ছবি সম্বলিত পোস্টার প্রদর্শন করে তার সুস্থতা কামনা করে। বিশ্বকাপ শেষ হলো। আর এর কয়েকদিন পরই ৮২ বছর বয়সে পেলে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
অসুস্থতা দীর্ঘদিনের। মাঝে কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। জীবনের প্রদীপ যেন নিভু নিভু করে জ্বলছিল। এবার আর সুস্থ হয়ে ফিরলেন না রাজা। ভক্তদের কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছেন এই কালো মানিক।
পেলেই একমাত্র ফুটবলার যিনি তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন- ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। ১৯৭০ বিশ্বকাপে হন সেরা খেলোয়াড়, জিতেন গোল্ডেন বল। ২০০০ সালে ফিফার সেঞ্চুরির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে।
২১ বছরের ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচ খেলেন পেলে। যেখানে তার গোলসংখ্যা ১ হাজার ২৮১টি। এর মধ্যে ব্রাজিলের জার্সিতে তিনি করেছেন ৭৭টি গোল।