আর কয়েকঘণ্টা পরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন বুধবার। উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে বুধবার উদ্বোধন করা হলেও সাধারণ যাত্রীরা স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ পাবেন পর দিন বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)।
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম চালক হিসেবে থাকছেন ছয় নারী চালকের একজন মরিয়ম আফিজা। মেট্রোরেলের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পুরো মেট্রোরেল পথ এলাকায় দেখা গেছে সাজ সাজ রব। জোরদার করা হয়েছে কঠিন নিরাপত্তা।
এরইমধ্যে মেট্রোরেল পথের চারপাশের বাসিন্দাদের সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। উদ্বোধনের সময় নিচ দিয়েও গাড়ি চলতে পারবে না নিরপত্তাজনিত কারণে।
আগামী বছর ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কিছু অংশ এবং ২০২৫ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পুরো অংশ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আপাতত ৬ কোচ বিশিষ্ট ২৪ সেট ট্রেন চালু থাকবে। তবে ভবিষ্যতে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে।
এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার রেলপথের আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথ চালু হচ্ছে বুধবার।প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চলবে, মাঝখানে কোনো স্টেশনে থামবে না। আগামী ২৬ মার্চ থেকে সব স্টেশন থামবে মেট্রোরেল।
প্রথম দিকে সপ্তাহে দুইদিন সকাল ও বিকালে ১০ মিনিট পর পর চার ঘন্টা করে যাত্রী পরিবহন করবে মেট্রোরেল। তারপর সময় বাড়ানো হবে। মেট্রোরেলর সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্থাপনে চলমান এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এরপর কমলাপুর পর্যন্ত যুক্ত হওয়ায় এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে জাইকা ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। অর্থায়ন করেছে সরকার।
উদ্বোধনের দিন আসছে ৫০ টাকার স্মারক নোট
মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট মুদ্রণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই স্মারক নোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করবেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, অবমুক্তকরণের পর আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে এই স্মারক নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এবং পরে অন্যান্য শাখা অফিসে পাওয়া যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।