ঢাকা মেট্রোরেল (Dhaka Metro) পরিচালনার দায়িত্বে আছে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড’ (ডিএমটিসিএল)। DMTCL-এর আধিকারিকরা জানান, আর্থিক সংকটের কারণে বাংলাদেশ সরকার খরচ কমাতে চাইছে। তাই মেট্রো রেলের উদ্বোধনে কোন জাঁকজমক থাকবে না।, যদিও বিভিন্ন দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর অনুষ্ঠান জাঁকজমক করেই হয়। ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএনএ সিদ্দিক বলেন, "জাঁকজমক না হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবে করার জন্য চেষ্টা করব। নিরাপত্তা ও নানা আনুষ্ঠানের কারণে উদ্বোধনের দিন জনসাধারণ মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ পাবেন না। সাধারণ মানুষ পরদিন থেকেই মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন।
"জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসাবে টিকিট কেটে মেট্রোয় চড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। তিনি উত্তরা উত্তর স্টেশনে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। তারপরে মেট্রোয় চড়ে আগারগাঁও যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অন্য আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে, প্রথম যাত্রী হিসাবে টিকিট কেটেই ট্রেনে উঠবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিমি পর্যন্ত মেট্রোর রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। তবে আপাতত ট্রেন চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এই পথের দৈর্ঘ্যে ১১.৭৩ কিমি। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মোট ৯টি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। মেট্রোয় সর্বনিম্ন ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ২০ টাকা। এই ভাড়া কমানোর দাবি তুলেছে যাত্রী কল্যান সমিতি। এদিকে রবিবারই একটি বৈঠকে বসে রেলের আধিকারিকা। কবে থেকে মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, ঢাকার যানজট কমাতে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় ২০১২ সালে। যদিও কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইনে ট্রেন চালু করা হবে। আগামী বছরের শেষদিকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলবে। কমলাপুর পর্যন্ত রেলের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করা হবে ঠিক করা হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট খরচ দেওয়া হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপান দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। জাপানের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে ঢাকা মেট্রো। অন্যদিকে, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ৬টি রুটে মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।