ভাগ্যকে দোষারোপ করতেই পারেন কিলিয়ানে এমবাপে। হ্যাটট্রিক করেও তিনি বিশ্ কাপ জেতাতে পারেননি ফ্রান্সকে। হারিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। শিরোপা হারানো এমবাপের ভাগ্যে জুটেছে গোল্ডেন বুট।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত বুট জয়ের দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। যদিও তার গোল ছিল এমবাপের সমান ৫টি। তবে অ্যাসিস্টে এগিয়ে থাকায় আর্জেন্টাইন জাদুকরের হাতেই ব্যক্তিগত খেতাবটি দেখছিল বিশ^। আর শিরোপা লড়াইয়ে মেসি যখন প্রথম গোলের দেখা পেলেন তখন সবার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।
সেই বিশ্বাস মুহূর্তেই ভেঙে দেন এমবাপে। একে একে তিন গোলে ফরাসি স্ট্রাইকার নিজেকে নিয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে দল যখন হারের প্রহর গুনছিল, তখনই ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। জোড়া স্ট্রাইকে দলকে ফেরান সমতায়।
৯০ মিনিটে ৪ গোলের থ্রিলার শেষে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৮ মিনিটে ফের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে মেসির গোলে। ১১৮ মিনিটে আবারও আলবিসেলেস্তেদের আনন্দ কেড়ে নেন এমবাপে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস!
এমবাপের হ্যাটট্রিকে ফাইনাল টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে গেলেও ভাগ্যের লড়াইয়ে আর পেরে উঠেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হার মানে ৪-২ গোলে। অপরদিকে, মেসির কাছে শিরোপা হাতছাড়া করলেও সর্বমোট ৮ গোলে গোল্ডেন বুট ছিনিয়ে নেন এমবাপে।
বিশ্বকাপজয়ী মেসি পেয়েছেন সিলভার বুট। টুর্নামেন্টে তার গোলসংখ্যা ৭। তবে মেসির গোল্ডেন বল কেড়ে নিতে পারেননি এমবাপে। বিশ্বকাপ জুড়ে আলো ছড়িয়ে সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবটি ঠিকই জিতে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ক্ষুদেরাজ।
কাতার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাঁচ গোলদাতানাম দল গোলকিলিয়ান এমবাপে ফ্রান্স ৮, লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ৭, অলিভিয়ের জিরু ফ্রান্স ৪, জুলিয়ান আলভারেজ আর্জেন্টিনা ৪,মার্কাস রাশফোর্ড ইংল্যান্ড ৩।