মেসির জন্মশহর রোসারিও। তার পরিবারের নিকটতম এক প্রতিবেশি ফের্নান্দো কুইইয়েরা। কুইইয়েরা এখনো মনে করতে পারেন সেই দিনগুলোকে কীভাবে লিওনেল মেসি তার কর্মজীবী পরিবারের তৃতীয় শ্রেণীর প্রতিবেশীদের সন্তানদের সঙ্গে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বৃহত্তম শহর রোসারিও’র নোংরা রাস্তাগুলোতে ফুটবল খেলছে।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কুইইয়েরা বলেছেন, ‘মেসি সবসময় কোনো না কোনোকিছুকে লাথি মারত, হতে পারে একটি বল বা একটি বোতলের মুখ। আমার তার স্মৃতিগুলো মনে আছে। কেননা, আমার বাড়ির সামনের ডানদিকের বাড়িতে সে থাকত। এমনকি যখন দাদীর সঙ্গে মিষ্টি পেস্ট্রি কিনতে যেত তখনও সে চারদিকে ঘুরে বেড়াতো এবং সবসময় কিছু না কিছু লাথি মারতে থাকতো।’
কাতারে রবিবারের (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের দেশ আর্জেন্টিনা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে মোকাবেলা করবে, সেই উত্তেজনা বেড়ে চলেছে দ্রুত আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দেশে এবং তার নিজের শহরে বিশেষভাবে উত্তেজনা বাড়ছে। তার শহর রোসারিওর অনেকে আশা করছেন, মেসি তার প্রদর্শনীয় ক্যারিয়ারে যে প্রধান শিরোপাটি জয় করতে পারেননি এই বছর অবশেষে তিনি তা জয় করতে পারবেন।
কুইয়েরা বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপই লিও’র জীবনের শেষ, এই কথাটি আমাদের সবাইকে ব্যাথা দিলেও সবাই আশা করছি সে তা জয় করবে। আমি মনে করি, জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও মেসির নিজের জন্য বিশ্বকাপ জয় জরুরী। তার কাছে বিশ্বকাপের মানে দলের চেয়েও অনেক বেশি কিছু। আমরা চাই সে তা জয় করুক কেননা সে নিজের জন্য অনেক বেশি ভালোবাসা ও বিশ্বাস আমাদের মধ্যে তৈরি করেছে।’ক্রোয়েশিয়াকে ১৪ ডিসেম্বর হারানোর পর লিওনেল মেসি জানিয়েছেন রবিবারের ম্যাচটি বিশ্বকাপে তার জীবনের শেষ ম্যাচ হতে পারে।