এই চিত্রটি সম্পর্কে কিছু না জানলেও আমরা সবাই জানি এটির নাম মোনালিসার চিত্র। কিন্তু কেন এই চিত্র নিয়ে এতো কৌতুহল। গবেষণায় বলা হয় ফ্রান্সের ল্যুভ মিউজিয়ামে ৮০% মানুষ এই চিত্রটি দেখার উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করেন। বিখ্যাত চিত্র শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৬ শতকে এই ছবিটি অঙ্কন করেন। মোনালিসার ছবিটিকে আঁকার জন্য লিওনার্দো দা ভিঞ্চি সময় নিয়ে ছিলেন তিন বছর (১৫০৩-১৫০৬)।
এই ছবিতে আমরা যা দেখি তাতে কৌতুহলের কিছু নেই। বাস্তবে এই ছবি একেক পজিশন থেকে তাকালে একেক রকম। দির্ঘ ৩ বছর ধরে পরিশ্রম দেয়া এই ছবিটিকে তিনি সবসময় তার কাছে রাখতেন এবং সকলকে বলতেন,
“এই ছবিটি হচ্ছে আমার জীবনের সবচাইতে সফল কর্ম”
কিন্তু মোনালিসা আসলে কে? এই বিষয়টি আজও অজানা। কেউ মনে করেন মোনালিসা লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মা ছিলেন। আবার কেউ মনে করেন মোনালিসা ছিলেন ভিঞ্চির প্রেমিকা। আবার কেউ বলেন, এটি লেওনার্দোর নিজের মহিলা সংস্করণ। আবার অনেকের মতে, নারীটির নাম লিসা ঘিরারদিনি।
যাই হোক এই চিত্রের কিছু রহস্যের কারণ:
১, ছবিটির ভেতরে মোনালিসার চোঁখ। (যেখান থেকেই তাকাবেন মনে হবে মোনালিসা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।)
২, মোনালিসার হাঁসি এবং তার ঠোঁট। (দূর থেকে দেখলে মনে হবে মোনালিসা হাসতেছে,,,যত কাছে যাবেন হাসি মিলিয়ে যাবে এবং বিষণ্ণতার একটা চাপ পড়বে মোনালিসার ঠোঁটে।)
৩, এই ছবির মধ্যে কিছু গোপন বার্তা আছে। (ড্যান ব্রাউনের "দ্য ভিঞ্চি কোড" বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা আছে।)
৪, মোনালিসার কোনো ভ্রু নেই। ( অনেকের মতে ভ্রু মুচে গেছে চিত্রটি সংগ্রহের সময়।) ল্যুভ জাদুঘরে এতো নিরাপত্তার ভেতরেও এই চিত্রটি একবার চুরি হয়েছে। পরে আবার ফেরত পেয়েছে। এই তথ্যগুলো কিন্তু মোনালিসা সম্পর্কে আমাদের কৌতুহল পরিপূর্ণ ভাবে মিটায় না। তাই এখনো গবেষকগণ গবেষণা করে চলছেন নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।