বিশ্ব রাজনীতিতে নিকলো ম্যাকিয়াভেলির ব্যবহার ক্রমাগত ভাবে বাড়ছে।রাজনীতির মধ্যে প্লেটো ও এরিস্টটল এর নীতির ব্যবহার কাগজ কলমে।বাস্তবিকভাবে ম্যাকিয়াভেলির “দ্যা প্রিন্স” এর ব্যবহার সকল রাষ্ট্র প্রধানেরা ফলো করছে।ম্যাকেয়াভেলির নীতি রাজনীতি বা রাষ্ট্র পরিচালনায় নীতিনৈতিকতার বালাই নেই।যার ব্যবহার জেনে হোক না জেনে হোক দ্যা প্রিন্সের সাথে মিলে যায়।তাই রাজনীতির বিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল কে হারমানিয়ে আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনকের স্থানে নিকলো ম্যাকিয়াভেলি। তিনি রাজনৈতিক বিজ্ঞান ছাড়াও একজন ভালো কুটনৈতিকবিদ, ইতিহাসবিদ, নাট্যকার, দার্শনিক ও রেনেসাঁ যুগের কবি।কর্মজীবে তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের একজন কুটনৈতিক ও সামরিক বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ম্যাকিয়াভেলি অনৈতিক আচরণ, যেমন অসততা এবং নিরপরাধ হত্যাকে রাজনীতিতে স্বাভাবিক এবং কার্যকর বলে বর্ণনা করেছেন। এমনকি তিনি রাজনীতিবিদদের মন্দ কাজে লিপ্ত হতে উৎসাহিত করতেন।বইটি এই দাবির কারণে কুখ্যাতি অর্জন করেছে যে এটি “অত্যাচারী শাসকদের তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য খারাপ সুপারিশ” শেখায়। ম্যাকিয়াভেলিয়ান শব্দটি প্রায়শই রাজনৈতিক প্রতারণা, বিভ্রান্তি এবং বাস্তব রাজনীতিকে বোঝায়। যদিও ম্যাকিয়াভেলি রাজত্বের উপর তার কাজের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন, পণ্ডিতরাও তার রাজনৈতিক দর্শনের অন্যান্য কাজের উপদেশের প্রতি মনোযোগ দেন। তার কিছু বানী, “সিংহের মতো সাহসী, শৃগালের মতো ধূর্ত” তিনি আরো বলেন,একজন শাসক ধর্ম পালন করবেন লোক দেখানোর জন্যে এবং ধর্ম কে প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন। “একজন শাসকের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ করতে হলে তার চারপাশের লোকজনকে দেখুন”।”রাজনীতির সঙ্গে নৈতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই”।”সিংহ নিজেকে ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে পারে না আর নেকড়ের বিরুদ্ধে শৃগাল অসহায়। কাজেই ফাঁদ চিনতে হলে হতে হবে শৃগাল আর নেকড়েকে আতঙ্কিত করতে হতে হবে সিংহ”।ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ৩ মে ১৪৬৯ জন্ম গ্রহন করেন এবং ২১ জুন ১৫২৭ সালে মৃত্যু বরণ করেন।এই বিশ্ববিখ্যাত রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মাত্র ৫৮ বছর বেঁচে ছিলেন।ম্যাকিয়াভেলি তার বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক সততার সঙ্গে ব্যবহারিক রাজনীতির গ্রন্থ দ্য প্রিন্স রচনা করেন ১৫১৩ সালে। দ্যা প্রিন্স গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৫৩২ সালে।