জিয়াদ হোসেন রাব্বীঃ
রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে- মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টা এ পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সিকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
এ রুশ কর্মকর্তা বলেন, কিয়েভ ভালোভাবে জানে এ ধরনের পদক্ষেপের অর্থ হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিশ্চিত করা। আপাতদৃষ্টিতে, তথ্যগত গোলমাল তৈরি ফের নিজেদের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি ফেরানোয় ব্যস্ত তারা।
আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ আরও বলেন, বাস্তবতার সঙ্গে কিয়েভের অনেক শাসকেরই যোগাযোগ নেই। যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে যদি তাদের কিছু সদস্য ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আশা করে; আমি অবাক হব না। আমরা এ ব্যাপারে সচেতন। ইউক্রেনকে পশ্চিমারা যেভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, এর অর্থ দাঁড়ায় তারা সরাসরি সংঘর্ষের পক্ষে।
রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারির ভাষ্য, ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পশ্চিমের সম্পৃক্ততাকে নতুন মাত্রা দেবে। মানবজাতির জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড গুরুতর পরিণতি নিয়ে আসবে। ন্যাটো সদস্যরা এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও ধারণা রাখে।
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, বাল্টসহ পূর্ব ইউরোপীয়রা কিয়েভের অনুরোধ সমর্থন করেছিল। ব্রাসেলসও এ তালিকায় নাম লিখিয়েছে। কোনো প্রকার উৎসাহ ছাড়াই তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। এসব মেনে নেওয়া যায় ন। আঞ্চলিক বিরোধের অস্তিত্ব তাই বলে।
রাশিয়ার দৃঢ় অবস্থানের কথা স্মরণ করে দিয়ে রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেনেডিক্টভ বলেন, যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। ইউক্রেনের ন্যাটো বা যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত অন্যান্য জোটে যোগদান অগ্রহণযোগ্য।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ নিজেদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ন্যাটোয় যোগদানের ব্যাপারে ঘোষণা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কেননা, ন্যাটোয় ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তিতে সদস্য দেশগুলোর সম্মতি প্রয়োজনীয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মির্জা সাইফুল ইসলাম, ঠিকানা: দারুল মুসাফির ( নিচ তলা ) আব্দুল গণি হেড মাস্টার রোড, সদর, লক্ষ্মীপুর।